চুলের সমস্যা দূর করতে কারিপাতা তেল

ত্বকের চাইতেও বেশি চুল নিয়ে টিপস পড়তে আমার বেশি ভালো লাগে। তাই সব সবসময় বিভিন্ন টিপসের পাতায় নজর রাখি, যদি কিছু নতুন পেয়ে যাই। মাস খানেক আগে এরকমই একটি টিপসের পেজ থেকে চুলের একটা  দারুন টিপস পাই। আমার কাছে নতুন ছিল। আমি কোন দিনই টিপসটি ট্রাই করিনি। একটি মেয়ের ঘন কালো চুল দেখিয়ে, বলা হয়েছিলো, চুলের সমস্ত সমস্যা দূর করতে কারিপাতা ব্যবহার করার জন্য। কারিপাতা দিয়ে তেল বানিয়ে লাগালে  নাকি চুল পড়া কমে, নতুন চুল গজায়, এক কথায় চুলের সমস্ত সমস্যা দূর হয় (উপরের ছবিটি সেই পাতাটি থেকে নেওয়া)।

কারিপাতা কি জানতে পড়ুন - সুগন্ধি গাছ কারিপাতা

আমি কারিপাতার শুধু একটি হেয়ার প্যাক বানিয়ে মাঝেসাঝে চুলে লাগাই।এরজন্য, একটা ডিম, এক কলা, তাজা কারিপাতা এবং ঘৃতকুমারী গাছের পাতা ব্যবহার করি। সেই রেসিপিটি আমি অনেক আগেই আমার ব্লগে সেয়ার করেছিলাম। নীচে লিঙ্কটি দিয়ে দিলাম, পড়ুন - ঘরে কিভাবে তৈরি করবেন প্রোটিন হেয়ার অয়েল ও প্রোটিন হেয়ার প্যাক

তবে কারিপাতা নিয়ে কোন দিন তেল বানাই নি। টিপসই আমার আছে ছিল সম্পূর্ন নতুন। তবে আর কি! দেরি না করে বানিয়ে নিলাম সেই তেল। বানানোর পর ৬ কি ৭ বার ব্যবহার করেছি। আর মাথার যে যায়গায় মনে হচ্ছে চুল কম, সেই সব স্থানে রোজ সামান্য একটু তেল লাগিয়ে রাখি। অবশ্য এক্ষেত্রে আমি শ্যাম্পু করি না। যাই হোক, এবার তাহলে দেখে নেই কি করে তেলটি বানাতে হবে।
তেলটি বানাতে শুধু ২ টি উপাদান লাগবে, কারিপাতা আর নারিকেল তেল। আমি অবশ্য অলিভ তেলও এক মধ্য যোগ করেছি। তবে  অলিভ তেল না দিলেও চলবে।
কি করে বানাবেন
২০০ ml তেল নিন, আর একটি ছোট বাটি পরিষ্কার কারিপাতা। নারিকেল তেল আপনার সুবিধা মতো কোন পাত্রে নিয়ে নিন। যাতে করে তেল গরম করতে সহজ হবে। এবার পাত্রটি উনুনের উপরে রেখে, নারিকেল তেল গরম করুন। তেল গরম হয়ে এলে, এতে কারিপাতাগুলি ছেড়ে দিন। যতক্ষণ না কারিপাতার রং বাদামি হয়ে আসছে, ততক্ষণ গরম করুন। পাতার রং একটু বাদামি বা কালচে ধরনের হয়ে এলে নামিয়ে নিন। ঠাণ্ডা করে, পরিষ্কার কাঁচের শিশিয়ে ভরে নিন।
কি ভাবে ব্যবহারে করবেন
আমি আগেই বলেছি যে, আমি কি ভাবে এই তেলটি ব্যবহার করছি। আপনি আপনার মতো করে ব্যবহার করতে পারে। এই মুহূর্তে আমি অন্য আর কোন তেল চুলে ব্যবহার করছি না। কারিপাতার এই তেলটি এখন আরও কিছু দিন ব্যবহার করে যাবো। কিছুটা হলেও ফল পেয়েছি।

কেমন লাগলো আজকের এই টিপসটি অবশ্যই জানাবেন। আপনাদের কমেন্ট, লাইক আমাকে খুব উৎসাহিত করে নতুন নতুন টিপস লিখতে।


লেখাটি ভালো লাগলে লাইক ও সেয়ার করুন।