চুলের যত্নে মেয়নেজ

অনেকেই হয় তো জানেন চুলের যত্নে মেয়নেজ ব্যবহার বাড়ি ঘরে এর প্রয়োগও করে থাকেন তবুও মনের মধ্যে একটা প্রশ্ন থেকে যায়, বিশেষ করে যারা এই কথাটি প্রথম শুনেছেন, যে সত্যি কি মেয়নেজ চুলের জন্য লাভদায়ি ? আমি কিন্তু এক বাক্যে বলবো , হ্যাঁ

দুঃখজনক বিষয় কোন মানুষের সঙ্গে রূপচর্চা বিষয় নিয়ে কথা বললে, বেশির ভাগ সমস্যা থাকে চুল সংক্রান্ত। কিন্তু কেন এই সমস্যা ? আজ আমি সেই সমস্যার কারন খুঁজবো না সেটা না হয় অন্য কোন পোস্টে লিখবো। তবে চুলের যে সমস্যা বেশি দেখা যায় তা হলো চুলের  damage গত সমস্যা আর এটা একটা চুল ঝরার কারনও বটে।

আজকাল বাজারে চুলের জন্য  বিভিন্ন রকমের স্টাইলিশ প্রডাক্ট রয়েছে। হেয়ার কলার, নানান ধরনের শ্যাম্পু , হেয়ার স্প্রে, তাছাড়া, চুল স্ট্রেট করবার পদ্ধতি ইত্যাদি। এগুলির ব্যবহার এক দিকে যেমন আমাদের আজ জীবনশৈলীর অংশ তেমনি এর ব্যবহার মানে গাদাগাদা রাসায়নিক প্রডাক্ট চুলে প্রয়োগ এক্ষেত্রে আমাদের সব সময়ই ওয়াকিবহাল থাকতে হবে যে , যাই ব্যবহার করি না কেন পাশাপাশি চুলের আলাদা যত্ন নিয়মিত করে যেতে হবে।

Hair Treatment  এর জন্য এখন অনেক পার্লার বা স্যালন রয়েছে যেখানে অনেক আধুনিক পদ্ধতিতে চুলের চিকিত্সা করা হয়। কিন্তু সেই চিকিৎসা অনেক বেশি খরচ সাপেক্ষ। কোন কোন ক্ষেত্রে আবার সময় সাপেক্ষও হতে পারে। তাই আমাদের উচিৎ এমন কিছু করা যা ব্যালেন্স থাকে। আর এই ক্ষেত্রে মেয়নেজ হচ্ছে একটি উত্তম Hair Treatment Recipeহবে পারে। মেয়নেজ দিয়ে চুলে যত্ন আক্ষরিক অর্থে অনেক কম খরচে হয় আর জাদুর মতো কাজ করে।



মেয়নেজ লাগানোর পদ্ধতি-

১। আপনার স্থানীয় মুদি দোকান বা কোন departmental store  থেকে কেনা  মেয়নেজও চুলে ব্যবহার করতে পারেন। কোন ব্র্যান্ড এর মেয়নেজ ব্যবহার করবেন সেটা আপনার পছন্দ। তবে রেগুলার মেয়নেজটা কেনাই ভালো।  চর্বি যুক্ত মেয়নেজ কিনেও কোন আসুবিধা নেই। কারন এটি আপনি চুলের জন্য ব্যবহার করবেন খাবার জন্য হলে অবশ্যই না।

২। প্রথমে হালকা গরম জল দিয়ে চুল ভিজিয়ে নিন।

৩। চুল সামান্য ড্রাই করে কন্ডিশনার যে ভাবে লাগান সেই রকম করে চুলের গোঁড়া থেকে আগা অব্দি ভালো করে লাগিয়ে নিন। কতটা পরিমাণে লাগাবেন সেটা নির্ভর করবে আপনার চুলের  দৈর্ঘ্য এর উপর।

৪। এবার plastic bag or shower cap দিয়ে মাথা মুড়ে রাখুন।

৫।অন্তত ২০-৩০ মিনিটের জন্য এটি চুলে লাগিয়ে রাখতে হবে।

৬। মেয়নেজ ধুয়ে ফেলার জন্য কোন মাইল্ড শ্যাম্পু ব্যবহার করতে পারেন। খুব ধীরে ধীরে শ্যাম্পু দিয়ে চুল ও স্কাল্প মাসাজ করে ধুয়ে নিন।

বাজার থেকে কিনে আনা মেয়নেজের সঙ্গে চাইলে, আপনি  বাদাম তেল, ভিনেগার, জলপাই তেল, আভাকাডো, বা ডিমের মতো অন্যান্য প্রাকৃতিক উপাদান যোগ করতে পারেন। বিশেষভাবে বাদাম তেল ভিনেগারের যোগ উকুন থেকে পরিত্রাণ পেতে সাহায্য করে।

মেয়নেজ চুলের জীবনীশক্তি পুনরুদ্ধার করতে সাহায্য করে।এটি আপনার চুলকে করে  উজ্জ্বল মেয়নেজ একটি কার্যকর হেয়ার কন্ডিশনার হিসেবে কাজ করে। চুলের দীপ্তি ফিরিয়ে এনে চুলের মধ্যে যোগ করে একটা আলাদা চমক। মেয়নেজ বিশেষ করে শুষ্ক এবং মাত্রাতিরিক্ত ক্ষতিগ্রস্ত চুলের জন্য খুব লাভদায়ি।